এক কেজি ওজনের টাকি মাছ নিয়ে গবেষনায় মৎস বিজ্ঞানীরা ! জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২০ নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহে ১৫ ইঞ্চি লম্বা প্রায় এক কেজি ওজনের একটি টাকি মাছ ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে গবেষনায় নেমেছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী। এনিয়ে তোলপাঁড় সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে। সূত্র জানায়, গত শনিবার ময়মনসিংহ মহানগরীর দীঘারকান্দা সংলগ্ন চরার বিল থেকে প্রায় এক কেজি ওজনের টাকি মাছটি ধরেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের নিরাপত্তাকর্মী দীঘারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আহসান আলী। এত বড় টাকি মাছ দেখে তিনি অবাক হয়ে খবর দেন বাংলাদেশ মৎস গবেষনা ইনস্টিটিউটে। পরে প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএইচ এম কোহিনূর মাছটি সংগ্রহ করে গবেষনার জন্য পুকুড়ে ছেড়ে দেন। মৎস বিজ্ঞানীরা আরো জানান, টাকি মাছ সাধারণত দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫.০ সেন্টিমিটার (৫.৯ ইঞ্চি) পর্যন্ত বড় হয়। তবে ৩১.০ সেন্টিমিটার (১২.২ ইঞ্চি) পর্যন্ত পুরুষ টাকি পাওয়া যায়। কিন্তু চরার বিলে যে টাকি মাছ ধরা পড়েছে, তার ওজন ৯৫৪ গ্রাম এবং এটির দৈর্ঘ্য ১৫ ইঞ্চি। বিজ্ঞানীদের মতে, টাকির প্রাকৃতিক আবাসস্থল জলাবদ্ধ কৃষিজমি, খাল, বিল, পুকুর, জলাশয় এবং ব্র্যাকিশ পানি (স্বাদুপানি ও লবণযুক্ত পানির মিশ্রণ)। টাকি মাছের জীবনকাল পাঁচ থেকে ছয় বছর। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এইচ এম কোহিনুর বলেন, এত বড় টাকি মাছ আমি প্রথম দেখেছি। তাই মাছটি নিয়ে গবেষনার জন্য পুকুড়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গবেষনা শেষে রহস্য জানা যাবে। তিনি আরো জানান, টাকি মাছের প্রিয় খাদ্য মাছি এবং মাছের লার্ভা। প্রাকৃতিক আবাসে এটি ক্রাস্টেসিয়ানস, মল্লাস্কস, পোকামাকড়, ছোট মাছের পোনা, আধা-হজম করা উপকরণ এবং কখনো কখনো গাছপালা খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। প্রজননকালে এরা একটি বাসা তৈরি করে, যেখানে ডিম দেওয়া হয়। টাকি মাছ ৩০ হাজার পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত টাকি মাছের প্রজননের সময়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক মাহফুজুল হক বলেন, ১৫ ইঞ্চি লম্বা প্রায় এক কেজি ওজনের টাকি মাছ খুবই দুর্লভ। এত বড় টাকি আমি কখনো দেখিনি। তবে বর্তমানে খরার কারণে খাল বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়া, খেতে ও জলাশয়ে বিষ প্রয়োগ, ব্যাপকহারে মাছ ধরার পাশিপাশি প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের কারণে টাকি মাছের অস্থিত্ব হুমকির মুখে। ২০৫ SHARES ময়মনসিংহ জার্নাল বিষয়: